সর্বশেষ
আলহাজ্ব আবুল মহসিন মোঃ ইয়াহিয়া খান
চেয়ারম্যান
বাণী
ঐতিহ্যবাহী জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসার রয়েছে আলাদা বৈশিষ্ট্য। এখানে ইসলামী জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি ছাত্রদের নেতৃত্বের গুণ, যোগ্যতা ও দক্ষতা অর্জনেরও ব্যবস্থা রয়েছে। এ মাদরাসা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত-এর আদর্শ বিস্তারে অনন্য ভূমিকা রেখে আসছে। তাই এ মাদরাসা দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নীত হয়। এখানে দক্ষ অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ-এর পরিচালনায় যোগ্য শিক্ষকদের আন্তরিকতাপূর্ণ পাঠদানের পরিবেশে ছাত্ররা জ্ঞান অর্জন করে আসছে। নতুন শিক্ষার্থীরা এ পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে নিজকে বিকশিত করতে পারবে। আমি মাদরাসার ঐতিহ্য সুরক্ষায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব দায়িত্ব-কর্তব্যে সর্বদা সচেষ্ট থাকা কামনা করি।
মাওলানা জসিম উদ্দিন আজহারী
অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) ও সদস্য সচিব
বাণী
সমস্ত প্রশংসা সর্বশক্তিমান আল্লাহ তা‘আলার জন্য। লাখো কোটি দুরূদ ও সালাম প্রিয় নবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার প্রতি। শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। বিশেষত ধর্মীয় শিক্ষা লাভ মানব জীবনের জন্য অতীব জরুরী। দীনী শিক্ষার প্রচার-প্রসারের কথা চিন্তা করে ১৯৫৪ সালে উপমহাদেশের অন্যতম আধ্যাত্মিক সাধক কুতবুল আউলিয়া, হাদিয়ে দীন ও মিল্লাত, রাহনুমায়ে শরীয়ত ও তরীক্বত, পেশোয়ায়ে আহলে সুন্নাত হযরাতুল আল্লামা হাফেয ক্বারী সৈয়দ আহমদ শাহ্ সিরিকোটি (রাহ.) জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। আমরা হুযূর ক্বিবলাহ্ শাহেনশাহে সিরিকোটি (রাহ.)-এর প্রতি কৃতজ্ঞ। এ মাদরাসা দেশ-বিদেশে ইসলাম তথা সুন্নিয়াত প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। গাউসে যামান আলে রাসূল আল্লামা হাফিয ক্বারী সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রাহ.)-এর পৃষ্ঠপোষকতায় এ মাদরাসার খ্যাতি ও সুনাম সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে হুযূর ক্বিবলাহ্ শায়খে ফা‘আল আধ্যাত্মিক জগতের অন্যতম সম্রাট আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ্ (মাদ্দা যিল্লুহুল আলী) ও হযরত আল্লামা পীর সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ (মাদ্দা যিল্লুহুল আলী) ও সিলসিলার মাশায়িখ হযরাতের নযরে করমে মাদরাসার সকল কার্যক্রম আরো অনেক ত্বরক্বীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য আল্লাহ পাকের দরবারে লাখো কোটি শুকর। আলহামদুলিল্লাহ্। যাঁদের ত্যাগ ও খেদমতে এ মাদরাসা আজ বিশ্বের সুন্নী মুসলমানের অন্তরে স্থান লাভ করেছে তাঁদের প্রতি মুবারকবাদ। মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক, শুভাকাঙ্খী, আরাকীনে আনজুমান, মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদ, গাউসিয়া কমিটিসহ সকলের দু‘জাহানের কল্যাণ ও সফলতা কামনা করছি। আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন, বিহুরমাতি সাইয়্যিদিল মুরসালীন ওয়া আলিহি ওয়া আসহাবিহি আজমাঈন।
ড. মুহাম্মদ লিয়াকত আলী
উপাধ্যক্ষ
বাণী
উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অলীয়ে কামিল হযরত আল্লামা হাফিয ক্বারী সৈয়দ আহমদ শাহ্ সিরিকোটী (রাহ্) ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রাম জেলার পাঁচলাইশ থানার ষোলশহরে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এ মাদরাসা আ‘লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান বেরেলভী (রাহ্)-এর মাসলাক তথা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত-এর আক্বীদাহ্ ও হানাফী মাযহাবের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়ে আসছে। ইসলামী শিক্ষা বিস্তার, মাযহাবে হানাফী ও আক্বায়িদে আহলে সুন্নাত-এর প্রচার-প্রসারে এ মাদরাসা অসাধারণ ভূমিকা রেখে আসছে। মাদরাসার নিজস্ব সিলেবাস এবং ফাতাওয়া-ফারায়িযের কিতাবসহ বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রণীত সিলেবাসের ভিত্তিতে এ মাদরাসার শিক্ষা ব্যবস্থা অতুলনীয়। দেশের শীর্ষস্থানীয় অধ্যাত্মিক সংগঠন ‘আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট’ পরিচালনাধীন মাদরাসা সমূহের মধ্যে এটি প্রধান মাদরাসা এবং দেশের শীর্ষ পর্যায়ের মাদরাসাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ মাদরাসার সাবেক পৃষ্ঠপোষক গাউসে যামান আল্লামা হাফিয ক্বারী শাহ্ সূফী সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রাহ্)-এর প্রত্যক্ষ তদারকীতে এ মাদরাসা এশিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাদরাসায় পরিণত হয়। মাদরাসার বর্তমান পৃষ্ঠপোষক গাউসে যামান রাহনুমায়ে শরী‘আত ও ত্বরীক্বত আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ্ মাদ্দাযিল্লুহুল আলী ও হযরত শাহ সূফী পীর সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ্ মাদ্দাযিল্লুহুল আলীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ও আনজুমান ট্রাস্টের তদারকীতে দীনী শিক্ষার পাশাপাশি বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তিসহ অনার্স, মাস্টার্স স্তরের শিক্ষা চালুকরণের মধ্য দিয়ে এর সুনাম ও মর্যাদা দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারের জরিপ ও পর্যবেক্ষণে এ মাদরাসা একাধিকবার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি ও মডেল মাদরাসার গৌরব অর্জন করেছে। হিফযুল কুরআন বিভাগ থেকে হিফয সম্পন্ন হাফিযদের দস্তারে ফযীলত ও সনদ প্রদান করা হয়ে থাকে। দুষ্প্র্রাপ্য প্রাচীন ও আধুনিক কিতাবসমৃদ্ধ লাইব্রেরী এ মাদরাসার ঐতিহ্যকে আরো বৃদ্ধি করেছে। শরী‘আহ্ শিক্ষাদানের পাশাপাশি ত্বরীক্বত ও আধ্যত্মিকতা চর্চা এ মাদরাসার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আক্বীদাহ্ বিস্তার ও হানাফী মাযহাবের আদর্শ বিকাশে এ মাদরাসা ব্যাপক ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।